সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে জমে উঠছে কোরবানির পশুরহাট। পশু যেমন আসছে তেমনি ক্রেতাদের আনাগোনাও বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসন মহাসড়কে যানজট ও নানা অপ্রতীকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে খুটাখালী ব্রীজের পূর্বপাশে ১টি অস্থায়ী পশুর হাটে এবার বেচাকেনা হবে কোরবানির পশু। যেখানে আসছে নানা রঙের ছোট-বড় গরু-মহিষ। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে গরু এসেছে এ হাটে। কক্সবাজার থেকেও আসছে মিয়ানমারের গরু। পাশাপাশি এসেছে পাহাড়ি গরুও। ফলে খুটাখালীর কোরবানী পশুর হাটে এবার পশুর দাম স্বাভাবিক মনে মনে করছেন ক্রেতারা।
জানা গেছে, চলতি বছর লাখ টাকা দামে পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। গেল বছর পশুর হাট বসেছে মহাসড়কের কিশলয় স্কুলের পশ্চিম পাশে। ঐসময় ইজারাদার ও পুলিশের সাথে যানজট নিয়ে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রশাসন চলতি বছর খুটাখালী ব্রীজের পূর্ব পাশে পশুর হাট বসানোর অনুমতি-ইজারা প্রদান করেছেন। ইউনিয়নের একমাত্র অস্থায়ী পশুর হাট হিসাবে আশ-পাশের লোকজন এখান থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করছেন। এ হাটে মিয়ানমার থেকে আসা কোরবানির গরুও আনা হয়েছে।
২৭ আগস্ট রবিবার সরজমিন দেখা গেছে, দেশীয়, পাহাড়ি ও মিয়ানমার থেকে আনা কোরবানির গরু হাটে তোলা হয়েছে। এসময় কয়েকজন বিক্রেতারা সাথে কথা হলে তারা জানান, কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে মিয়ানমারের গরু, দেশী-পাহাড়ি গরুও খুটাখালী পশুর হটে তোলা হয়েছে।
দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে হাজারো গরু-মহিষ। বিক্রেতারা গরু-মহিষের পরিচর্যা ও বিক্রয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এসময় কালাপাড়ার গরু বেপারি মো: মিয়া বলেন, চাহিদার চেয়ে বেশি গরু হাটে এসেছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে হারে গরু আনা হচ্ছে তাতে চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলে তিনি দাবী করছেন। যার ফলে গরুর দাম নিয়ে শঙ্কিত তিনিসহ ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মায়ানমার থেকেও পশু আসা শুরু করায় তাদের ধারণা এবার পশুর দাম সহনীয় থাকবে। অপরদিকে খুটাখালীর অস্থায়ী পশুর হাটে বেঁচা-কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে গরু আসতে শুরু করায় ইজারাদাররাও বেশ খোশমেজাজে রয়েছে। তারা আশা করছেন এবার পশু কেনা-বেঁচা বিগত সময়ের রেকর্ড অতিক্রম করবে। পশু ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করে বলেন, বাজারে বিভিন্ন আকারের গরু-মহিষের উপস্থিতির কারণে দাম সহনীয় হবে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কোরবানির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া ব্যবসায়ী অথবা ক্রেতাদের অনাকাঙ্কিত ঘটনার নজিরও বিগত সময়ে রয়েছে। এছাড়া এবার কোরবানি বাজারকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা নেই বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
এদিকে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত পশুরহাট ছাড়া অবৈধ হাট গড়ে তোলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্যও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী জানান, কোরবানী পশুর হাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল রাখা হয়েছে। কোরবানির পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশ রয়েছে।
পাঠকের মতামত: